বাজে সময় পার করছে বিশ্ব
অনেক দেশ ভেবেছিল, তারা করোনার সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি দেখে ফেলেছে। কিন্তু তারা এখন আবার করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখছে। বিশেষ করে বিভিন্ন দেশে করোনার ডেলটা ধরনের বিস্তার বাড়ছে। করোনার সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধির জন্য অতি সংক্রামক ডেলটাসহ অন্যান্য ধরন ভূমিকা রাখছে। কিছু কিছু দেশে রাতের বেলাতেও কবর খুঁড়ছেন গোর খোদকেরা। দেশগুলোতে অক্সিজেনের পাশাপাশি টিকার সংকট প্রকট। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ আবার তাদের প্রবেশদ্বার বন্ধ করছে। কেউ-বা কঠোর কোয়ারেন্টিন বিধি আরোপ বা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।
চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গত সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন যে তাঁরা আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য পাঁচ হাজার কক্ষের একটা বড় কোয়ারেন্টিন সেন্টার গড়তে যাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ দেশটির লাখো অধিবাসীকে ঘরে অবস্থান করতে নির্দেশ দিয়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গেছে। উৎপত্তির পর করোনা অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
মূল ধরনটির চেয়ে করোনাভাইরাসটির রূপান্তরিত ডেলটা ধরন দ্বিগুণ সংক্রামক হতে পারে। করোনার ডেলটা ধরনে আংশিক টিকা নেওয়া কিছু লোকেরও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এই আশঙ্কার বিষয়টি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ভারতের গবেষকেরা ডেলটার পর এখন আবার ডেলটা প্লাস ধরনের সংক্রমণের কথা বলছেন। অন্যান্য দেশেও করোনার নানান ধরন আছে। সেগুলো আবার রূপান্তরিতও হচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বের অন্তত ৮৫টি দেশে করোনার ডেলটা ধরন শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে ভাইরাসের এই ধরনটিই এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে প্রাধান্যশীল। ডেলটার ভয়ংকর সংক্রমণ ক্ষমতা ভারতে দেখা গেছে। ২৫ মে থেকে ৭ জুনের মধ্যে এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বাংলাদেশে পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার চলতি সপ্তাহে প্রায় ২৫ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তা ২ শতাংশ।