শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা আপাতত নেই
করোনার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এসব বিষয়ে শিক্ষা প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। আবার বিকল্প কী হবে, তাও আগেভাগে বলা হচ্ছে না। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। গতবারও প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হয়নি। আগামী ঈদুল আজহার আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা নেই। কবে খুলবে, তা-ও নিশ্চিত নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত ঘোষণা রয়েছে।
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হয়ে থাকে বছরের নভেম্বর মাসে। এই চার পরীক্ষায় কমবেশি ৫০ লাখ পরীক্ষার্থী থাকে। স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষাগুলো হয় ডিসেম্বর মাসে। আর প্রতিবছরের ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা হয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছর থেকে শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী কোনো কিছুই হচ্ছে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গতকাল বলেন, পরিস্থিতি দেখে ৩০ জুনের আগে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আর এখন পর্যন্ত জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনাই আছে। কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে তাঁরা পরিকল্পনাগুলো করছেন। সেই পরিস্থিতি অনুযায়ী তাঁরা পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
করোনা পরিস্থিতিতে চলমান বন্ধের কারণে আগের বছরের মতো এ বছরের প্রায় ছয় মাস ধরে শ্রেণিকক্ষে কোনো ক্লাস হয়নি। ফলে চলতি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত পাঠ্যসূচিও এগোয়নি। এমনকি এসব শিক্ষার্থী করোনার কারণে গতবারও ক্লাস না হওয়ায় পরীক্ষা ছাড়াই ওপরের শ্রেণিতে উঠেছে। অন্যদিকে আটকে থাকা চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা নিয়ে বিকল্পভাবে মূল্যায়নের প্রাথমিক চিন্তাভাবনা করা হলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি শিক্ষা প্রশাসন। এখন পর্যন্ত পরীক্ষার পক্ষেই আছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এ জন্য প্রস্তুতিও নিয়ে রাখছে তারা।