এসএসসি ও এইচএসসি নিয়ে অনিশ্চায়তা
রবিবার এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, “২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন সেটি যদি সম্ভব না হয়, তাহলে আমরা বিকল্প নিয়েও চিন্তা করছি।“সম্ভব হলে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে সরকার। এর পরও পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে কষা হবে বিকল্প ছক।
এই বছরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে ডিসেম্বরে পরীক্ষা নিতে হলে শিক্ষার্থীদের কিছুদিন ক্লাস করানোর জন্য কয়েক মাস আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে। সেটা সম্ভব না হলে গুরুত্বপূর্ণ চার-পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার বিকল্প ভাবনা আছে। এই দোটানার মধ্যে চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে এসএসসি ও এইচএসসির প্রায় ৪৪ লাখ পরীক্ষার্থীর।
আন্ত শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, “এখন পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারেই মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত রয়েছে। অন্তত আমরা ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখতে চাই। এই সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প ভাবতে হবে। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতিই রয়েছে।“
শিক্ষার্থীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। কারণ এই দুটি পরীক্ষাই বলে দেয়, একজন শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে কোন দিকে যাবে। কিন্তু প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা দশম শ্রেণির ক্লাস এবং এইচএসসির পরীক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস করতে পারেনি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমান এবং ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে এসএসসির জন্য ৬০ কর্মদিবস ও এইচএসসির জন্য ৮৪ কর্মদিবসের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু একাধিকবার ঘোষণা দেওয়ার পরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়নি। এসব শিক্ষার্থীকে ক্লাস না করিয়ে কোনোভাবেই পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না।
সর্বশেষ গত রবিবার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। কিন্তু করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।