বিয়ের কনে লাশ

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধরাচান্দুরা গ্রামে শুক্রবার সুইটি আখতারের বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো, ভাগ্যের নির্মম বাস্তবতা বিয়ের দিন তাঁর জানাজা পড়ানো হলো। বিয়ের সাজানো গেট দিয়ে যাঁর শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা, সেই সুইটির লাশ এসেছে বাড়িতে। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন এই তরুণী। আজ বিয়ের বদলে সুইটির জানাজা শেষে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাঁকে।

বিয়ের আগের দিন গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর গায়েহলুদ অনুষ্ঠান চলাকালে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে মারা যান। কদিন ধরে প্রচণ্ড জ্বর, গলাব্যথাসহ নানা উপসর্গে ভুগছিলেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ছিল কনের গায়েহলুদ অনুষ্ঠান। বিয়েবাড়িতে আত্মীয়স্বজন আনন্দ-উল্লাস করছিলেন। এ অনুষ্ঠান চলাকালে কনে সুইটি আখতার হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের মা-মণি ক্লিনিকে। সেখানকার চিকিৎসকেরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে নেওয়া হয় মাধবপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত বেসরকারি তিতাস হাসপাতালে।

সেখানকার চিকিৎসকেরাও তাঁকে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বলেন। অসুস্থ সুইটিকে এরপর নিয়ে যাওয়া হয় পাশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে। এ হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁর প্রাথমিক পরীক্ষা করে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তরুণীর অভিভাবকেরা ওই দিন রাতেই ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।

মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের ধরাচান্দুরা গ্রামের আবদুর রশিদ মিয়ার মেয়ে সুইটি আখতারের সঙ্গে পাশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহাদতপুর গ্রামের এক তরুণের বিয়ের দিন ধার্য ছিল শুক্রবার। এ বিয়ে উপলক্ষে কনের বাড়ি সাজানো হয় ফুল ও আলোকসজ্জায়। বিয়ের নিমন্ত্রণ প্রক্রিয়াসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল বর-কনে উভয় পক্ষের।