বিপর্যস্ত নেপাল
প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে নেপালে। দেশটি মহামারিতে এখনো ভুগছে। হাসপাতালে শয্যার সংকট রয়েছে। আছে অক্সিজেনের সংকটও। দেশটিতে করোনার প্রথম ঢেউ যখন সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছিল, তখন দৈনিক সংক্রমণ ছিল প্রায় ৬ হাজার। গত বছরের অক্টোবরে এই চিত্র দেখা দিয়েছিল নেপালে।
বিভিন্ন স্থানে লকডাউন খানিকটা শিথিল করা হলেও জনজীবন এখনো স্বাভাবিক হয়নি। নেপালের বিভিন্ন প্রদেশের নাগরিকদের কথায় এমন চিত্রই উঠে এসেছে। ১১ মে দেশটিতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এদিন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল ৯ হাজারের বেশি। আর সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ১৯ মে। সেদিন মারা যান ২৪৬ জন।
শুক্রবার পর্যন্ত মোট সংক্রমণ ছিল ৫ লাখ ৭৬ হাজারের বেশি। এ পর্যন্ত মারা গেছেন সাড়ে ৭ হাজারের বেশি মানুষ। আর সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি রোগী। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে যে হিসাব দেওয়া হচ্ছে তার থেকে প্রকৃত সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি পার্লামেন্টে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা সংশ্লিষ্ট অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। যেমন: এক সপ্তাহ ধরে নেপাল ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, দেশটিতে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।