শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন সচল ও নিরাপদ রাখার সিদ্ধান্ত

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কাউন্সিলের পরামর্শে পরীক্ষা গ্রহণ ও মূল্যায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কভিড-১৯ এর টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসাসহ ৪টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ,  ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব যুক্ত ছিলেন।

সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন সচল ও নিরাপদ রাখার স্বার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কভিড-১৯ এর টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসাসহ ৪টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়-

 

  • প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কভিড-১৯ এর টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই টিকা প্রদানের কর্মসূচি আবাসিক হলসমূহের শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হবে।

 

  • ইতোপূর্বে ইউজিসি কর্তৃক শর্তসাপেক্ষে সরাসরি উপস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণ এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য যে দুইটি নির্দেশনা প্রদান করেছে, তা স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদনের প্রেক্ষিতে কার্যকর করে বিষয়বস্তুর ওপর চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ ও মূল্যায়ন করা হবে।

 

  • বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কভিড-১৯ এর টিকা প্রদান সম্পন্ন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সরাসরি উপস্থিতিতে শিক্ষাকার্যক্রম পূর্বের ন্যায় চালু হবে।

 

  • কভিড-১৯ মহামারীর কারণে ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীগণের শিক্ষাজীবনে যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী একটি Recovery Plan প্রস্তুত করে তা বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এই Recovery Plan এর একটি সাধারণ Guideline বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন প্রস্তুত করে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে প্রেরণ করবে।