দিনাজপুরে লিচু উৎসব

দিনাজপুরে মেতেছে লিচুর উৎসব। বাজারে এসেছে টসটসে লিচু। তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে এবার লিচুর ফলন কমেছে । দিনাজপুরের সব জায়গায় কমবেশি লিচুর চাষ হয়। সবচেয়ে বেশি চাষ হয় সদর উপজেলার মাসিমপুর, ঘুঘুডাঙ্গা, বিরলের মাধববাটি, করলা, রবিপুর, মহেশপুর, বটহাট, চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলায়।

চাষ হয় চায়না–থ্রি, বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, কাঁঠালি জাতের লিচু। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়,” দিনাজপুরে ৬ হাজার ৬২৩ হেক্টর জমিতে লিচুবাগান রয়েছে ৬ হাজার ৩১২টি। বসতবাড়ির উঠান ও বাগান মিলিয়ে জেলায় লিচুগাছ আছে সাত লাখের বেশি। গত মৌসুমে উৎপাদিত হয়েছিল ৩৫ থেকে ৩৫হাজার মেট্রিক টন লিচু, যা থেকে আয় হয় সোয়া ৩০০ কোটি টাকা।”

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক টি এম টি ইকবাল বলেন, “লিচুর ফলন কমে যাওয়ার পেছনে একটি নির্দিষ্ট কারণকে দায়ী করা যায় না। তিনি বলেন, লিচু পাড়ার সময় অনেকেই গাছের বড় বড় ডাল ভেঙে ফেলেন। সেই ঘাটতি পূরণ হতে কিছুটা সময় লাগে। তা ছাড়া লিচুতে মুকুল আসার সময় শীত বেশি ছিল। ফলে পরাগায়ন ঠিকভাবে হয়নি। ফল যখন পুষ্ট হবে, সেই সময় ছিল প্রচণ্ড খরা। এ কারণে ফলের আকার ছোট হয়ে গেছে। আবার শেষ দিকে হঠাৎ বৃষ্টি বেড়েছে, শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। ফলে লিচু ফেটে গেছে।“

করোনা পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়াতে গত বছরের মতো এবারও শহরের গোর এ শহীদ ময়দানে বসেছে লিচুর পাইকারি বাজার। গত শনিবার বাজারের উদ্বোধন করলেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ প্রমুখ।