সংক্রমণ বেড়েই চলেছে বিশ্বে
ভ্যাকসিন নেওয়া সত্ত্বেও সেশেলসে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এ সপ্তাহে সংক্রমণ এক ধাক্কায় দ্বিগুণ ছুঁয়েছে।১১৫টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটির জনসংখ্যা সব মিলিয়ে এক লাখেরও কম। আফ্রিকার বাকি দেশগুলোর মতো এখানেও থাবা বসিয়েছে করোনা। জনসংখ্যা কম থাকায় প্রথমে লকডাউন এবং তারপর গণহারে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনায় খুব একটা বেগও পেতে হয়নি।
ভ্যাকসিনকেই করোনা-যুদ্ধের একমাত্র ঢাল করা নিয়ে ইতিমধ্যে সুর চড়িয়েছেন অনেকে। সেশেলসের ঘটনায় সেই দাবি আরও জোরালো হতে শুরু করেছে। অন্যদিকে এই দুর্যোগে ভারতের কপালেও চিন্তার ভাঁজ বাড়তে বাধ্য। কারণ, সেশেলসের প্রশাসন সূত্রে খবর, তারা প্রধানত দুইটি টিকার ওপর আস্থা রেখেছিলেন।
৭ মে থেকেই চেহারা বদলাতে থাকে। ধীরে ধীরে চড়তে থাকে শনাক্তের গ্রাফ। এমনকি সোমবার তা দ্বিগুণেরও বেশি ছুঁয়েছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশটিতে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ৪৮৬। তাদের মধ্যে ৩৭ শতাংশই ভ্যাকসিনের উভয় ডোজ নিয়েছেন। বিপদ বুঝে ইতোমধ্যে দেশজুড়ে ফের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রযুক্তিতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড নামের ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা নিয়ে আফ্রিকাজুড়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। বি.১.৩৫১ নামে কোভিডের যে ভ্যারিয়েন্ট আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে, সেটি মোকাবিলায় এই টিকা খুব একটা সফলতা দেখাতে পারেনি।