আতঙ্ক নিয়ে জয়লাভ বাংলাদেশের
টস জিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান তুলতে সক্ষম হয় তামিম বাহিনী। জবাবে লঙ্কানরা ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু টা ভালো করলেও মিরাজ আর ফিজের পর পর আঘাতে ব্যাকফুটে চলে যায়। কঠিন পরিস্থিতিতে লঙ্কানদের জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। মনে হচ্ছিলো ম্যাচ টা লঙ্কানরা জিতে যাবে কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি । শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন টাইগার রা।
মিরপুরের ধীরগতির পিচে এমন লক্ষ্য পেয়েও তুলনায় আত্মবিশ্বাসী সূচনা ছিল শ্রীলঙ্কার। শুরুর ৫ ওভারেই তারা তুলে ফেলেছিল ৩০ রান। কিন্তু লঙ্কানদের আত্মবিশ্বাসী সূচনায় আঘাত হেনেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান।শুরুতে মেরে খেলার দিকে মনোযোগী ছিলেন ওপেনার গুনাথিলাকা। ১৯ বলে ৫টি চারে ২১ রান তুলেছিলেন। অধিনায়ক কুশল পেরেরা অবশ্য ধীরে চলো নীতিতে খেলতে থাকেন। আক্রমণাত্মক গুনাথিলাকা শেষ পর্যন্ত মেরে খেলতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনেন পঞ্চম ওভারের শেষ বলে।
এরপর বল করতে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে বোলিংয়ে নেমে উইকেটও তুলে নেন কাটার মাস্টার। নিসাঙ্কাকে আফিফের ক্যাচ বানান তিনি।তাৎক্ষণিক দুই উইকেট পড়ে যাওয়ায় লঙ্কানদের এগিয়ে নেন ওপেনার কুশল পেরেরা ও কুশল মেন্ডিস। ৪১ রান তুলে ফেলেছিল এই জুটি। মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ানো জুটিটি-ই ভেঙেছেন সাকিব। ১৯তম ওভারে তালুবন্দি করান মেন্ডিসকে (২৪)।
এমন কঠিন পরিস্থিতির মাঝে থেকেও ব্যাট চালিয়ে লঙ্কানদের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দাসুন শানাকা কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়ে সাইফের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেও থেমে থাকেননি হাসারাঙ্গা। ৩০ বলে ঝড়ো ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল শ্রীলঙ্কার জয়টাই বুঝি সম্ভাব্য। ৬০ বলে ৭৪ রান করে ফেলা এই বিপজ্জনক ব্যাটসম্যানকেই বিদায় দিয়েছেন সাইফ। ৪৪তম ওভারে মেরে খেলতে গিয়ে আফিফের বলে তালুবন্দি হন তিনি। তাতে সব সম্ভাবনার ইতি ঘটে শ্রীলঙ্কার। হাসারাঙ্গার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৫টি ছয়ের মার।তবে একটা হুংকার দিয়ে রাখলো শ্রীলংকা ।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হয়নি। কষ্ট করে প্রথম ওয়ানডে ৩৩ রানে জিতেছে স্বাগতিকরা। তাতে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।