অনলাইন গেমে কোটি টাকার অপচয়
গেমস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মশিউর রহমান জানালেন, তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের মধ্যপড়ায় দেখতে পান পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়ারা মোবাইলে দেদার গেম খেলছে। এরমধ্যে এগিয়ে আছে ফ্রি ফায়ার ও পাবজি। সঙ্গী হিসেবে আছে আত্মীয় ও বন্ধুরা। টাকার বিনিময়ে ডায়মন্ড ও বিশেষ কয়েন কিনছে তারা।
গেমসে এ ধরনের টাকা ঢালার নেপথ্যে কাজ করছে কিছু মধ্যস্বত্বভোগী। তারা তাদের ফেসবুক পেইজ ও ওয়েবসাইটে অনবরত নানা অফার দিয়ে চলেছে। সার্চ করে দেখা গেছে এসব সাইট ও পেজ কয়েক হাজারের কম নয়। সংশ্লিষ্ট গেমের নাম লিখে গুগল ও ফেসবুকে সার্চ দিলেই আসবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম, কমিউনিটি, ফেসবুক গ্রুপ ইত্যাদি।
দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর (আইএসপি) সূত্রে জানা গেছে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে এ সময়ে বেশি খেলা হচ্ছে পাবজি, ফোর্টনাইট, ফ্রি-ফায়ার, ভ্যালোরেন্ট, লিগ অব লিজেন্ড, ফিফা-২০২০, কাউন্টার স্ট্রাইক, কল অব ডিউটি ইত্যাদি।অন্যদিকে দেশে এ সময়ের শীর্ষ ফ্রি অ্যান্ড্রয়েড গেমগুলো হলো ফ্রি ফায়ার, পাবজি মোবাইল, পাবজি মোবাইল লাইট, লুডো স্টার, ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস, ক্ল্যাশ রয়্যাল, ড্রিম লিগ ২০২০, সাবওয়ে সারফার্স ইত্যাদি।
কোনও গেম বা গেমের সরঞ্জাম (ভার্চুয়াল), যেমন- গান স্কিন, পোশাক, ক্যারেক্টার ইত্যাদি কেনার অসংখ্য সাইট ও ফেসবুক পেজ আছে। এগুলোতে দেওয়া থাকে বিকাশ, নগদ বা রকেটের নম্বর। তাতে টাকা পাঠিয়ে কেনা যায় ভার্চুয়াল অনুষঙ্গ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন,” ঘটনা। এটা তো শিশু-কিশোরদের কৈশোর ধ্বংসের আয়োজন। দেশীয় যেসব সাইট এসব অফার নিয়ে আসছে, শিশু-কিশোরদের প্রলুব্ধ করছে, সেসব সাইটের লিংক দেওয়া হলে তিনি তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেবেন বলে জানান। আগে এগুলো বন্ধ করার ব্যবস্থা করি, মনিটরিংয়ের আওতায় আনি। তারপর যদি ইতিবাচক কিছু থাকে তবে তা সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যাবে।একইসঙ্গে অভিভাবকদের সন্তানের প্রতি আরও যত্নশীল ও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান ।