ভর্তি কার্যক্রম পেছাতে যাচ্ছে
আগামী ঈদের পর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পুনর্বিন্যাস করা হতে পারে। কয়েক বছর ধরে ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করে আসছে এই পরিষদ। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২১ মে শুরু হওয়ার পরিকল্পনা ছিল।এ অবস্থায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম অন্তত দুমাস পিছিয়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ বিষয়টি নিয়ে গত ৫ মে বৈঠকও করেছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়। সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা ভর্তি পরীক্ষা হয়। এছাড়া এবার তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, সাতটি কৃষি এবং ২০ সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তিন গুচ্ছে আলাদাভাবে পরীক্ষা নেবে। ইতোমধ্যে গত ২ এপ্রিল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ফলও ঘোষণা করা হয়েছে।
২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ইতোমধ্যে পেছানো হয়েছে। এখনো অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে পরীক্ষা পুনর্বিন্যাস হবে।ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বিবেচনা করে তাদের পছন্দের শীর্ষে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার তারিখ আগে রাখা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চশিক্ষায় বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৯ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে মূল ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর ১৪ জুন থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সময় নির্ধারণ করা ছিল।