মোদি কে ক্ষমা করা অসম্ভব
কোনো রকম রাখঢাক না রেখেই গতকাল শনিবার জার্নাল “দ্য ল্যানসেট” এক প্রতিবেদনে বলে , নরেন্দ্র মোদির সরকারই দেশে কোভিড বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। ভারতের কোভিড সংকটের জন্য এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কাঠগড়ায় তুলল আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিকেল এই জার্নাল।
প্রধানমন্ত্রী মোদি সমালোচনাবিদ্ধ হওয়ায় সরকার ক্ষোভও প্রকাশ করেছে। বিদেশি প্রচারমাধ্যমের সমালোচনা অন্যায্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সরকার পাল্টা জবাব দিয়েছে। কিন্তু ‘দ্য ল্যানসেট–’এর কড়া সমালোচনার বিরুদ্ধে সরকার এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। দ্য ল্যানসেট লিখেছে, “বহুবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সরকার ধর্মীয় উৎসব (কুম্ভ মেলা) পালন ও রাজনৈতিক সভার (পাঁচ রাজ্যের ভোটে প্রচার) মতো অতি সংক্রামক অনুষ্ঠান হতে দিয়েছে, যা সুপার স্প্রেডারের কাজ করেছে”।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন গত শনিবার সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ভারতে সংক্রমণের যে রকমফের দেখা যাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে এটা অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনার একটা ধরন। কোভিডের অতি সংক্রামক এই ধরনটি ‘বি.১.৬১৭’ নামে পরিচিত, যা গত অক্টোবরে প্রথম ধরা পড়ে।
রাজ্যে রাজ্যে অক্সিজেন ও হাসপাতালের বেডের চাহিদা বেড়ে চলেছে। অক্সিজেনের অভাবে সারা দেশে হাহাকার। এই অবস্থায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আস্থা না রেখে গত শনিবার অক্সিজেনের বিলিবণ্টন ও বরাদ্দ ঠিক করতে ১২ বিশেষজ্ঞের এক টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। অক্সিজেন ছাড়াও কোভিডের চিকিৎসায় জরুরি ওষুধের জোগান কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, ওই বিশেষজ্ঞেরা তা ঠিক করে দেবেন। ভবিষ্যতের প্রস্তুতির রূপরেখা তৈরির দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে ওই টাস্কফোর্সকে। প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন ৪ হাজারের বেশি মানুষ। গত চার দিন ধরে এই মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত। অথচ এখনো প্রধানমন্ত্রী মোদি একবারের জন্যও সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেননি।