ফ্রান্সকে একাই রুখে দিলো এক কৃষক
ফ্রান্সের মতো শক্তিধর দেশের সীমানা একাই কমিয়ে দিলেন প্রতিবেশী দেশ বেলজিয়ামের এক সাধারণ কৃষক। সীমানা নিয়ে ইতিহাসে রয়েছে অনেক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। ইউরোপের কিছু দেশের সীমান্তে কাঁটাতার নেই। সেখানে বহু জায়গায় দুটি দেশের সীমান্ত ভাগ করেছে পাথরের ফলক। ফ্রান্স-বেলজিয়ামের মধ্যেও এমন একটি পাথরের ফলক ছিল। যা দুই দেশের সীমান্ত বলে নির্ধারিত।
বেলজিয়ামের এক ব্যক্তি, যিনি পেশায় চাষী, ওই পাথরের ফলক নির্দিষ্ট জায়গা থেকে তুলে অন্যত্র বসিয়ে দেন। যার ফলে প্রায় আড়াই মিটার (সাড়ে সাত ফুট) জায়গা হারায় ফ্রান্স। উল্টোদিকে বেড়ে যায় বেলজিয়ামের সীমান্ত এলাকা।বহু বছর ধরে ওই চাষীর ভুলটি কেউ ধরতে পারেনি। ফলে এত বছর ধরে ফ্রান্স তাদের অধিকারের প্রায় আড়াই মিটার জায়গা হারিয়ে বসেছিল।
মেয়র লাভক্স জানিয়েছেন, যদি ওই চাষী ফলকটি আগের স্থানে নিতে ব্যর্থ হন তাহলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হতে পারে। তিনি বলেন, তিনি যদি সদিচ্ছা দেখান তাহলে আমাদের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা। বিষয়টি আপসে মীমাংসা হয়ে যাবে।
এত বছর কোনও সমস্যা হয়নি। শেষ পর্যন্ত একজন ইতিহাসবিদ ওই চাষীর করা ভুল বুঝতে পেরেছেন। ইতিহাসবিদ বনের রাস্তা ধরে হাঁটার সময় খেয়াল করেন, যে পাথরটির সীমানা চিহ্নিত করার কথা সেটি সঠিক জায়গায় নেই। এর পর ইতিহাসবিদ ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বেলজিয়াম ও ফ্রান্সের সীমান্ত বরাবর চাষের জমি ছিল তার। সেখানে চাষবাস করে তার জীবন কাটত। বারবার সেই চাষীর ট্রাক্টর-এর সামনে সীমান্ত ভাগাভাগি করা পাথরটি চলে আসত। তাই একটা সময় বিরক্ত হয়ে পাথরটিকে নির্ধারিত জায়গা থেকে তুলে কিছুটা দূরে বসিয়ে দেন ওই চাষী। পাথরের ফলকটি সরে যাওয়ার পরও দুই দেশের কেউ লক্ষ্য করেনি।