বিদেশে পাঠানো হচ্ছে না খালেদা জিয়া কে
মানবিক কারণে ৪০১ ধারায় দণ্ড স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে তাঁর সুবিধা মতো চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বাসায় থেকে কিংবা সুবিধা মতো চিকিৎসা নিচ্ছেন। কয়েকদিন আগে করোনা আক্রান্ত হলে তিনি এভার কেয়ার হাসপাতালেও চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার আরেকটি আবেদন করেন বিদেশে নেওয়ার জন্য। সেটার আইনি দিকগুলো খতিয়ে দেখার জন্য আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। তারা মতামত দিয়েছেন, যে ধারায় তার দণ্ড স্থগিত রেখে চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হয়েছে সেটা পুনরায় বিবেচনা করে বিদেশে পাঠানোর কোনও সুযোগ নেই। তাই আমরা তাদের আবেদনটি মঞ্জুর করতে পারছি না, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ তথ্য জানান।
রবিবার সকালে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর আবেদনের নথি আইন বিভাগের সচিবের দফতর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মতামত সংবলিত নথিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়।
৩ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার দলের নেত্রীর চিকিৎসা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে কথা বলেছেন।এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে বিদেশে নেওয়ার আবেদন করার পর কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় সোমবার বিএনপি মহাসচিব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। বিশেষ করে, সোমবার বিকালে খালেদা জিয়াকে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করার বিষয়টি অবহিত করেন।