পরাজয়ের সম্মুখিন মমতা
চলমান নির্বাচনে কোচবিহারে রাসমেলা ময়দানে আয়োজিত জনসভায় যোগ দিয়ে মোদি বলেন,” দিদি হারছে এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে। প্রথম দুই দফার নির্বাচনে সেই চিত্রই ফুটে উঠেছে। ইতিমধ্যেই বাংলায় বিজেপির ঝড় শুরু হয়েছে। আর এই কোচবিহারের রাসলীলা ময়দান মঞ্চ তৃণমূলের পতনের স্মারক হয়ে থাকবে। আগামী ২ মের পর এই বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি। বিদায় নেবেন দিদি।“
মোদি কোচবিহারের পর বিকেলে হাওড়ার ডুমুরজলাতে আরেকটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে আবার ঘোষণা দেন, বাংলায় এবার পরিবর্তন আসছেই। জিততে চলেছে বিজেপি। হারছে দিদি। তিনি বলেন, ‘দিদি ও দিদি’ শুনলে রেগে যান দিদি। তবুও বলছি—দিদি, এবার বিজেপিই গড়ছে এই বাংলায় সরকার। গড়ছে সোনার বাংলা। নতুন সরকার।
মোদি বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে নিশ্চিত হয়ে গেছে দিদি হারছেন এই বাংলায়। তাই তো এই বাংলায় আসল পরিবর্তন এসে যাচ্ছে। দিদি এবার নির্বাচনী যুদ্ধে হেরে গেছেন। দুই দফার নির্বাচনের পর দিদির মুখই সেই কথা বলছে। তাই তো দিদিকে এবার রাজনীতি করতে বাইরে যেতে হবে। নন্দীগ্রামের ভোটপর্বই বলে দিয়েছে দিদি হারতে চলেছেন।
১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটের দিন কোচবিহারের ৯টি আসনে ভোট নেওয়ার কথা। আর হাওড়ারও ৯টি আসনেও ভোট নেওয়া হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে মোদি আজ কোচবিহার শহর ও হাওড়ার ডুমুরজলায় নির্বাচনী প্রচারে আসেন।
পশ্চিমবঙ্গে আজ কিছু বিচ্ছিন ঘটনার মধ্য দিয়ে তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ চব্বিম পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলার ৩১টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। ইতিমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ৬০টি আসনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।