কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি

দেশজুড়ে লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপের তৃতীয় দিন আজ। সরকারি নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক পরা, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়ার কথা থাকলেও অনেকেই তা মানছেন না। বরং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হলে নানা ছুতো দেখাচ্ছেন নগরবাসী।ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখেই পকেট থেকে মাস্ক বের করে পরে ফেলছেন। শাটার নামিয়ে ভোঁদৌড় দিচ্ছিলেন দোকানিরা। আদালত চলে গেলে মুখের মাস্ক আবার পকেটে ঢোকে।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও এলাকায় আজও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ও র‌্যাব এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। তবে অভিযানের পরও মানুষের মধ্যে নির্দেশনা মানতে অনীহা দেখা গেছে।

একটি দোকানে  ভ্রাম্যমাণ আদালতকে দেখে দোকানিরা শাটার নামিয়ে দেন। আদালত টোকা দিলে শাটার খোলা হয়। এ সময় আদালত দোকান কেন খোলা তা জানতে চান। জবাবে দোকানি আদালতকে বলেন, মার্কেট কমিটি তাঁদের নির্দেশনা দিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খুলতে। অথচ দোকানি  সহ  সেখানে থাকা অন্তত তিনজনের মুখে কোনো মাস্ক ছিল না।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান না হওয়া সত্ত্বেও দোকান খোলা রাখার অপরাধে আদালত দোকানি  দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। ২০১৮ সালের সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের বিধানে এই অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

সড়কে একটু পাশেই  রেস্তোরাঁ। এর ভেতরে বসেই খাওয়াদাওয়া করছিলেন ক্রেতারা। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে দেখে কেউ কেউ দৌড়ে সরে যান। এই রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেনের দাবি, তাঁরা নির্দেশনা সম্পর্কে জানেন। তবে ক্রেতারা নাকি তা শুনতে চান না। এ সময় এই রেস্তোরাঁকে আড়াই হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

রাজধানির টাউন হল, তাজমহল সড়ক, আদাবর, শ্যামলী স্কয়ার ও রিং রোডে অভিযান চলে। বিকেল পাঁচটার পর তা শেষ হয়। এ সময় সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১৮ জনকে ২৮ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি অসচ্ছলদের মধ্যে বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়।