চার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী র্যাবের হাতে আটক
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদক সেবন, বিক্রি ও চাঁদাবাজির মামলায় দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)’র চারজন শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে গেছে র্যাব-১৩ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি সিপিসি-২ নীলফামারী দল। এই ঘটনার প্রতিবাদে ও আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাঁশেরহাট এলাকা থেকে ওই চারজন শিক্ষার্থীকে আটক করে র্যাব। আটককৃত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ এর লেভেল-৪ সেমিস্টার-২ এর শিক্ষার্থী আবু সাঈদ রনি, জিএম মেহেদী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট অ্যান্ড মনিকুলার বায়োলজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইলিয়াস দেওয়ান ও কৃষি অনুষদের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী বাদল।
বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে অন্য শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা আটক শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানায়। পরে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করায়। দিনাজপুর কোতয়ালি থানার ওসি মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে র্যাব-১৩ এর নীলফামারী সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মুন্না বিশ্বাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদক সেবন বিক্রি ও চাঁদাবাজি করে আসছিল এমন অভিযোগ আমাদের কাছে পূর্ব থেকেই ছিল। আজকে সিভিল পোশাকে ওই শিক্ষার্থীদের কাছে মাদক কেনার কৌশল অবলম্বন করি।
মাদক কিনতে গেলে তারা আমাদের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বিষয়টির সত্যতা পাওয়ায় তাৎক্ষণিক ওই চার শিক্ষার্থীকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসি। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানানো হয়েছে। প্রক্টরের প্রতিনিধি আসলে মুচলেকা নিয়ে ওই শিক্ষার্থীদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
কথা হলে হাবিপ্রবি’র প্রক্টর ড. খালিদ হাসান ওই চার শিক্ষার্থীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তাই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. রবিউল ও সহকারী প্রক্টর সিহাবুল র্যাবের ক্যাম্পে রওনা দিয়েছেন। ছাত্রদের ছাড়িয়ে আনলেই বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে জানা যাবে।