অর্থনীতি অগ্রগতি
বুধবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী চলতি অর্থবছরের বাজেটের প্রথম প্রান্তিকের বাস্তবায়নের অগ্রগতিবিষয়ক প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে এ সব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অগ্রগতির যে চিত্র আমরা দেখলাম, তা থেকে নির্দ্বিধায় বলা যায় আমরা সঠিক পথে রয়েছি।’
করোনা মহামারি সত্ত্বেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করা গেছে বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকারের বাস্তবমুখী ও পর্যাপ্ত প্রণোদনা প্যাকেজগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছে। চলতি অর্থবছরে সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিসঞ্চার, কর্মসৃজন ও কর্মসুরক্ষা, অভ্যন্তরীণ চাহিদা সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে পেরেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই যে কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরের বাকি সময়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। প্রথম প্রান্তিকে সামগ্রিকভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য সূচকগুলোর অবস্থাও ইতিবাচক।“
আবার গতবারের তুলনায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন ৮ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল্যস্ফীতি খানিকটা বেড়ে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ হয়েছে। কর-রাজস্ব ৪ দশমিক ১১, প্রবাসী আয় ৪৮ দশমিক ৫৪ এবং রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে ভবিষ্যতে সরকারের অন্যতম কৌশল হবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ খাতে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বেসরকারি বিনিয়োগে গতি আনা, দারিদ্র্য হ্রাস, রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসার, কর ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক খাতের সংস্কার আনা, এ কথাও বলেন মুস্তফা কামাল।
করোনায় বৈশ্বিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা কিছুটা শ্লথ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।