হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠাতার কন্যাকে মৃত্যুর হুমকি

চিঠিতে একাধিকবার মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝু। এমনকি চিঠির মধ্যে করে এসেছ্র  বুলেটেও। হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠাতা রে ঝেংফেই-এর কন্যা মেং।

কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে গৃহবন্দী থাকাকালীন মেং এই হুমকিগুলো পেয়েছেন বলে বুধবার আদালতকে জানানো হয়েছে। মেংয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান লায়ন্স গেইট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট-এর প্রধান নির্বাহী ডৌগ মেইনার্ড বুধবার নিজের সাক্ষ্যর মাধ্যমে জানিয়েছেন।

গত বছরের জুন এবং জুলাই মাসে মেং বাড়িতে “পাঁচ বা ছয়টি” হুমকিমূলক চিঠি পেয়েছেন। ব্রিটিশ কলম্বিয়া সুপ্রিম কোর্টে মেইনার্ড বলেছেন, হুমকির প্রমাণ পরীক্ষায় পুলিশও অন্তর্ভূক্ত ছিলো।

“চিঠিগুলো ডাকযোগে আসছিলো এবং বাইরের মোহর দেখে সেগুলো সহজে শনাক্ত করা যাচ্ছিলো,” বলেন মেইনার্ড।

চলতি সপ্তাহেই আরেক দফা আদালতে গিয়েছিলেন মেং এবং তার আইনজীবীরা। জামিনের শর্ত কিছুটা শিথিল করার এবং দিনের বেলায় নিরাপত্তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা। ২৪ ঘন্টা মেংকে অনুসরণ করে নিরাপত্তা দল।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর কানাডার ভ্যাঙ্কুভার বিমানবন্দর থেকে ৪৮ বছর বয়সী মেংকে গ্রেপ্তার করে কানাডার পুলিশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ইরান নিষেধাজ্ঞা লংঘনের সঙ্গে যুক্ত প্রতারণার দায়ে মার্কিন আদালতে মেংয়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আছে। মেংকে হস্তান্তরের জন্য কানাডার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বর্তমানে ভ্যাঙ্কুভারে গৃহবন্দী মেং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিজের হস্তান্তর আটকাতে আদালতে লড়াই করছেন। নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠাতা রে ঝেংফেই-এর কন্যা।

কানাডায় গ্রেপ্তারের পরপরই মেংকে জামিন দেওয়া হয়েছে এবং তারপর থেকে ভ্যাঙ্কুভারে গৃহবন্দী রয়েছেন।

প্রমাণ যাতে নষ্ট না হয় এবং এটি যে হুমকি, তা নিশ্চিত করতে চিঠি খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেইনার্ড। কিছু সময় “খামের ভেতর বুলেটও” ছিলো।

হুমকিদাতার পরিচয় এবং হুমকির পেছনে সম্ভাব্য কারণ কী হতে পারে, তার বিস্তারিত প্রকাশ করেননি মেইনার্ড।