উড়োজাহাজটির একটি ব্ল্যাকবক্সের উদ্ধার

ইন্দোনেশিয়ায় সাগরে বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজের একটি ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করেছেন দেশটির নৌবাহিনীর ডুবুরিরা।

ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত হওয়া যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের একটি ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার হয়েছে। এর ফলে উড্ডয়নের চার মিনিটের মাথায় কেন উড়োজাহাজটি রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণ জানা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইন্দোনেশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী বুদি কারইয়া সুমাদি সরাসরি সম্প্রচারিত এক টেলিভিশন ব্রিফিংয়ে ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শ্রীবিজয়া এয়ারের বোয়িং ৭৩৭-৫০০ মডেলের উড়োজাহাজটি এক মিনিটেরও কম সময়ে প্রায় ১০ হাজার ফুট (তিন হাজার মিটার) ওপর থেকে জাভা সাগরে আছড়ে পড়ে। উড়োজাহাজটি ২৬ বছর ধরে উড্ডয়ন করছিল।

গত শনিবার উড়োজাহাজটি দেশটির রাজধানী জাকার্তা থেকে ওয়েস্ট কালিমান্তান প্রদেশের রাজধানী পনতিয়ানাকে যাচ্ছিল। এতে ১২ ক্রু ও ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা সবাই মারা গেছেন। এই ৬২ জনের সবাই ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। ইতিমধ্যে বিমানের ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে বেশ কয়েকজনের দেহাবশেষও সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও আশা এখনো ছেড়ে দেননি এসব যাত্রী ও ক্রুদের স্বজনেরা।

প্রসঙ্গত, কোনো বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে বা একেবারে বিধ্বস্ত হলে উদ্ধারকারীরা ব্ল্যাকবক্সের খোঁজ করেন। কারণ, এতে দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তের পাইলটের সর্বশেষ কথাবার্তা, নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে শেষ যোগাযোগের তথ্যসহ নানা বিষয় সংরক্ষিত থাকে। আর সেগুলো দেখে দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয় করার সুযোগ থাকে।

এর আগে গত রোববার ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা কমিটির প্রধান সোয়েরজান্তো তাহজোনো জানিয়েছিলেন, তাঁদের অনুসন্ধানী দল বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির দুটি ব্ল্যাকবক্সের অবস্থান শনাক্ত করতে পেরেছে। আর দেশটির সেনাপ্রধান হাদি তাহজানতো ব্ল্যাকবক্স দুটি শিগগিরই উদ্ধারের আশা প্রকাশ করেছিলেন।

ইন্দোনেশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী বলেছেন, বিমানটি রাডার থেকে হারানোর আগমুহূর্তে এয়ার ট্রাফিকের পক্ষ থেকে এর গতিপথ পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। উড়োজাহাজটির পাইলটও ছিলেন অভিজ্ঞ। বিমানবাহিনীর সাবেক ওই পাইলট কয়েক দশক ধরে উড়োজাহাজ চালাচ্ছিলেন।