উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পনা

এবার নতুন এডিপিতে বরাদ্দ ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ থাকছে দেড় হাজারের বেশি। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দের প্রায় অর্ধেকই ব্যয় করতে পারেনি সরকার। অন্যদিকে সংকটকালে অগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বরাদ্দ না দিয়ে, সেই অর্থ জনবান্ধব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজে লাগানোর পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

মূলত মার্চের মাঝামাঝি থেকেই দেশজুড়ে স্থবির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। ফলে কাটছাঁট করতে হচ্ছে প্রকল্প পরিকল্পনায়, কমাতে হচ্ছে ব্যয়ও। এর মধ্যেই জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী। যেখানে উন্নয়ন বাজেটে প্রকল্পের সংখ্যা ১ হাজার ৫৮৪টি।

শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরের ১০ মাসে সরকার এডিপি বাস্তবায়ন করতে পেরেছে মাত্র ৪৯ শতাংশ। অঙ্কের হিসেবে ব্যয় ৯৮ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। অথচ গত পাঁচ অর্থবছরে এ হার কখনোই ছিলে না গড়ে ৫৩ শতাংশের নিচে।

এদিকে প্রণোদনায় বাড়তি নজরে প্রায় সব বড় প্রকল্পেই বরাদ্দ কমেছে নতুন বাজেটে। পদ্মা সেতুতে ৩৭০ কোটি আর রেল সেতুতে কমেছে ১৫৬ কোটি টাকা। মেট্রোরেলে ১ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা কমলেও ৭১১ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ছে রূপপুরে।

অর্থমন্ত্রী মনে করেন, উন্নয়নের এমন দর্শনেই করোনা সংকট কাটিয়ে উঠবে বাংলাদেশ। যদিও বাজেটে আমলে নেয়া হয়নি, ঘূর্ণিঝড় আম্পানকে। গতানুগতিক বাঁধ নির্মাণ আর অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনাতেই সীমাবদ্ধ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাত।