নৌরুটে  ভোগান্তির  উৎস

দেশের নৌ রুটের চরম এক ভোগান্তির নাম ফেরি । শুষ্ক মৌসুমে নাব্য সংকট আর বর্ষা মৌসুমে তীব্র স্রোত, উভয় কারণেই ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণা-পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিয়ত পড়তে হচ্ছে অসহনীয় দুর্ভোগে। অথচ নদী সংস্কার ও নৌযানের সক্ষমতা বাড়ানোর দায়িত্ব না নিয়ে, খোঁড়া যুক্তি দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর।

ভরা বর্ষায় তীব্র স্রোতের বিপরীতে ফেরিগুলোর চলার মত অবস্থা যেমন থাকে না আবার শুষ্ক মৌসুমেও নাব্যতা সংকটে বন্ধ রাখতে হয় ফেরি চলাচল।বিশাল জনগোষ্ঠীর ভোগান্তির লাঘবে আশার কোন কথা না শুনিয়ে বরং সক্ষমতার অভাবের কথা তুলে ধরলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরণী নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের যোগাযোগরের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ফেরি। বছরের পর বছর ধরে চলা এই এই ফেরিগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। বছর জুড়েই পড়তে হয় নানা যান্ত্রিক সমস্যায়। সারাবছর জোড়াতালি দিয়েও চললেও প্রতিবছর বর্ষা আসলে এই রুটের চলাচলকারীদের ভোগান্তি পিছু ছাড়ে না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরণী নৌ-পরিবহনের চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ‘একটা ফেরী যখন ফুল লোডে চলাচল করে তখন তার স্পীড ১২-১৩ কিলোমিটার। স্রোতের বেগ ফেরীর স্পীডের চেয়ে অনেক বেশি।’

অন্যদিকে ফেরি ও নৌযানের দায়িত্বে থাকা সংস্থা অর্থনৈতিক সংকটসহ প্রকৃতির ওপরই ছেড়ে দিলেন সবকিছু।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন করপোরেশন চেয়ারম্যান খাজা মিয়া বলেন, ‘২ মাসই তো বর্ষা। তার মধ্যে স্রোত হচ্ছে ৪-৫ দিন। তখন উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ফেরী যদি আনি তার তেল খরচ সব মিলিয়ে অর্থনৈতিকভাবে মূল্যবান নয়।’

বর্তমানে দেশের নৌপরিবহন মন্ত্রণলায়ের অধীনে পাটুরিয়া সেক্টরে ২০টি , শিমুলিয়া সেক্টরে ১৮টি, চাঁদপুরে ৫ টি, ভোলায় তিনটি এবং লাহারহাটে ৪ টি ফেরি চলাচল করে।