ব্রিটেনের আগেই বাংলাদেশে নতুন করোনা শনাক্ত’

নভেম্বরের মাঝামাঝি নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের আবির্ভাব হয়েছে যুক্তরাজ্যে। তার দুই মাস আগেই বাংলাদেশে শনাক্ত হয় এটি। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম খান।

আজ বৃহস্পতিবার সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা জানান, ব্রিটেনের সঙ্গে মিল থাকা নতুন করোনার উপস্থিতি বাংলাদেশে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গবেষণায় বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ বিষয়ে ড. সেলিম খান বলেন, করোনার নতুন স্ট্রেইন দুই মাস আগে বাংলাদেশে শনাক্ত করা হয়। গত নভেম্বরের মাঝামাঝি একই ধরনের করোনার নজির পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যে।

গত দুই মাসে বাংলাদেশে করোনার নতুন কোনো ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে ‘সবকিছুই ঠিক আছে’ বলে দাবি করেন ড. সেলিম খান। তবে নতুন করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ব্রিটেনে।

দেশটিতে করোনার নতুন স্ট্রেইনের সঙ্গে কিছু মিউটেশন মিলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের গবেষণা ফলের সঙ্গে আমাদের গবেষণা ফল মিলিয়ে দেখা হয়েছে। এতে দুই দেশে পাওয়া নতুন স্ট্রেইনের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে পুরোপুরি মিল না থাকলেও অনেকটাই মিল রয়েছে।

ব্রিটেনে পাওয়া ওই স্ট্রেইন নতুন ধরনের মিউটেশন উল্লেখ করে ড. সেলিম খান বলেন, এই স্ট্রেইনের প্রধান মিউটেশন বাংলাদেশে গত অক্টোবরে স্যাম্পলে পাওয়া গেছে। তবে এটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেননি তিনি।

করোনার নতুন এই স্ট্রেইন বাংলাদেশে তেমন কোনো ক্ষতি করেনি দাবি করে বিজ্ঞানী সেলিম খান জানান, ব্রিটেনে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় তারা গবেষণা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে সংক্রমণ না বাড়ায় এটি নিয়ে গবেষণা করা হয়নি।

করোনাভাইরাসের প্রতিনিয়ত মিউটেশন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সব মিউটেশনে ক্ষতি হচ্ছে না। নতুন স্ট্রেইনটি ৭০ শতাংশ বেশি গতিতে ছড়ায়। কিন্তু দুই-আড়াই মাসে বাংলাদেশে এটি ক্ষতি না করায় আগামীতেও ক্ষতির সম্ভাবনা কম।

বিবিসি বাংলা জানায়, গত মাসে বিসিএসআইআর-এর বিজ্ঞানীরা ১৭টি নতুন জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে ৫টিতে নতুন ধরনের ওই করোনাভাইরাসের স্ট্রেইন শনাক্ত করেছেন।

সেলিম খান জানান, জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য তারা ওই নমুনাগুলো রাজধানীর আগারগাঁয়ে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার থেকে নিয়েছিলেন।

তবে এই নমুনাগুলো কাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল, তা শনাক্ত করা যায়নি। তাদের শনাক্ত করতে নমুনার তথ্য ওই সেন্টারে ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান বিসিএসআইআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।