ঘুমিয়ে লাখ টাকা আয়
ঘুমের জন্য চাকরির অফার দিয়েছে কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুভিত্তিক একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত ইন্টার্নশিপ। এই চাকরির শর্ত হলো, গভীর ঘুমে তলিয়ে যেতে হবে। ম্যাট্রেস প্রস্তুতকারী সংস্থা ওয়েকফিট ইনোভেশন প্রাইভেট লিমিটেড এমন কিছু মানুষকে খুঁজছে, যাঁরা ভালো ঘুমাতে পারেন। ১০০ দিনের জন্য ৯ ঘণ্টা করে ন্যূনতম ঘুমাতে হবে। এ জন্য পকেটে আসবে এক লাখ রুপি।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ঘুমের জন্য ড্রেস কোডও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এটি হলো পায়জামা। এ জন্য অবশ্য অনেকে এটিকে ‘পায়জামা পরার চাকরি’ বলছেন।
এই ইন্টার্নশিপে গড়ে কর্মীকে ৯ ঘণ্টা করে ঘুমাতে হবে। ১০০ দিন ধরে করতে হবে এ কাজ। তবেই মিলবে এক লাখ রুপি বেতন। ম্যাট্রেস প্রস্তুতকারী ওই সংস্থার দাবি, স্লিপ ট্র্যাকার দিয়ে ঘুমের সময় পরিমাপ করবে তারা। এ ছাড়া থাকবে কাউন্সেলিং সেশন, যেখানে কম ঘুমানোর সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ঘুমের এই ইন্টার্নশিপ করানো হচ্ছে স্বাস্থ্যের দিকে ফোকাস ফিরিয়ে আনার প্রয়াস হিসেবে। ‘ঘুম আমাদের কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ’ করার একটি পদক্ষেপ এটি
ওয়েকফিটের পরিচালক ও সহপ্রতিষ্ঠাতা চৈতন্য রামলিংগেগোদা বিজনেস ইনসাইডারকে বলেছেন, ঘুমের এই ইন্টার্নশিপ করানো হচ্ছে স্বাস্থ্যের দিকে ফোকাস ফিরিয়ে আনার প্রয়াস হিসেবে। ‘ঘুম আমাদের কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ’ করার একটি পদক্ষেপ এটি।
ইন্টার্নশিপ
ইন্টার্নশিপের জন্য ওই কোম্পানি তাদের নিজের একটি ম্যাট্রেস দেবে। ইন্টার্নশিপ করা ব্যক্তি প্রতি রাতে ৯ ঘণ্টা আরামের ঘুম সেখানে ঘুমাবেন। চাকরির শর্তের জায়গায় কোম্পানিটি নিজেদের ওয়েবসাইটে বলেছে, ‘শুধু ঘুমাও। যতক্ষণ পার, ঘুমাও। শুধু বিশ্রাম।’ তবে ঘুমানোর জন্য স্লিপ ট্র্যাকার থাকবে। এটি দিয়ে ঘুমন্ত ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। আর ১০০ দিন ৯ ঘণ্টা করে আরামসে ঘুমাতে পারলেই ওই ব্যক্তি এক লাখ রুপি পাবেন।
ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এই কাজের জন্য যোগ্য ব্যক্তি তিনিই, যিনি কোম্পানির সব শর্ত ঘুমানোর সময় পূরণ করতে পারবেন। আর সঠিকভাবে ঘুমানোর কাজে ওই অর্থের পাশাপাশি বোনাসও পেতে পারেন।
তবে এই চাকরি করার আগে কিছু শর্তও মানতে হবে। কোম্পানি জানিয়েছে, এই চাকরির কাজের সময় কোনো ল্যাপটপ বা মোবাইল কর্মীর সঙ্গে থাকবে না। এমন ব্যক্তিকে কাজে রাখতে চাচ্ছে কোম্পানি, যাঁরা এ দুটি যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই ঘুমাতে পারেন।
এর আগে এমন চাকরির শর্ত দিয়েছিল জাপানের একটি সংস্থাও। ক্রেজি ইনক নামের ওই জাপানি সংস্থা জানিয়েছে, বেসরকারি বা সরকারি চাকরিতে কর্মরত অবস্থায় খুব কম মানুষই আট ঘণ্টা ঘুমাতে পারেন। তাই তাঁরা নিজেদের অ্যাপ ব্যবহার করে কর্মীদের ঘুমের সময় ধরে সমীক্ষা চালাবে। এ জন্য পাওয়া যাবে মোটা অঙ্কের বেতনও।