মারা গেলেন অভিনেতা সেলিম আহমেদ
১৭ ডিসেম্বর হঠাৎ বুকে ব্যথা শুরু হলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। দ্রুত তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকলে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আজাদ আবুল কালাম জানিয়েছেন, সেলিম আহমেদ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর ফুসফুসেও পানি জমে গিয়েছিল। শেষ দিকে কিডনি অকেজো হয়ে পড়ে। আজাদ আবুল কালাম বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে তাঁর হার্টে রিং পরানো হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি ভালোই ছিলেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষের দিকে তাঁর অক্সিজেনও কমে গিয়েছিল। সবকিছু মিলিয়ে তার শারীরিক অবস্থা একসময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
সেলিম আহমেদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম। তিনি সেলিম আহমেদের মগবাজারের বাসা থেকে জানান, আগে থেকেই সেলিম আহমেদের কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল। গত বৃহস্পতিবারে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দ্রুত রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পরে সেলিম অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন তাঁকে সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থা দ্রুত খারাপ হতে থাকে। চিকিৎসকেরা জরুরি ভিত্তিতে আইসিইউতে নেওয়ার পরামর্শ দেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত সেখানেই ছিলেন সেলিম।
সেলিম আহমেদের জন্ম রংপুর জেলায়। তিনি সপরিবার মগবাজারে নিজস্ব বাসায় থাকতেন। লেখাপড়া করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে। আশির দশক থেকে প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন সেলিম। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর বড় ছেলে জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি নিয়ে লেখাপড়া করছে। ছোট ছেলে ঢাকায় এ লেভেলে পড়ে।
তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।