নতুন উদ্যোগে রবি
শেয়ারবাজারে যুক্ত হচ্ছে টেলিকম খাতের কোম্পানি রবি জিয়াটা। আগামী পরশু তথা বৃহস্পতিবার দেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হবে। এরই মধ্যে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ লেনদেন শুরুর দিন-তারিখ চূড়ান্ত করে কোম্পানিকে চিঠি দিয়েছে।
জানা গেছে, প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে রবির শেয়ার বিজয়ীদের বিও (বেনিফিশারি ওনার্স) হিসাবে শেয়ার পাঠানো হয়েছে। আর যাঁরা আবেদন করেও শেয়ার পাননি, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। রবি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলে এটি হবে মুঠোফোন অপারেটরদের মধ্যে দ্বিতীয় কোম্পানি। এর আগে ২০০৯ সালে এ খাতের শীর্ষ কোম্পানি গ্রামীণফোন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। গ্রামীণফোন শেয়ারবাজারে আসার ১১ বছর পর দ্বিতীয় মুঠোফোন অপারেটর হিসেবে রবি শেয়ারবাজারে যুক্ত হচ্ছে।
রবি আজিয়াটা এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় মূলধনি কোম্পানি। এটির পরিশোধিত মূলধন ৫ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় মূলধনি কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংক। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার রবির তালিকাভুক্তির মধ্য দিয়ে শেয়ারবাজারে বহুজাতিক কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১২টিতে।
রবি আজিয়াটা শেয়ারবাজারে ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেস ভ্যালুতে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ছেড়ে প্রায় ৫২৪ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ১৩৬ কোটি টাকার শেয়ার পেয়েছেন কোম্পানিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শেয়ার ছেড়ে সংগ্রহ করা টাকায় কোম্পানিটি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করবে। রবি আজিয়াটাকে শেয়ারবাজারে আনার ক্ষেত্রে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে রয়েছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস।
রবির আইপিও শেয়ারের জন্য মোট ১২ লাখ ৮০ হাজার ৪২৫টি আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ২৯০ জন আবেদনকারী লটারিতে শেয়ার পেয়েছেন। সেই হিসাবে মোট শেয়ারের বিপরীতে প্রায় পৌনে ৬ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়ে।