ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রবেশপথ হবে চট্টগ্রাম

নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে রোববার বিকেলে। চট্টগ্রাম ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সমূহ ও এই অঞ্চলের প্রবেশদ্বার হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।

চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।

ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, বৃহত্তর অর্থনীতি হিসেবে উদিত বাংলাদেশে ২৫০ কোটি মানুষের বাজার এ অঞ্চল। যেখানে প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে চট্টগ্রাম। বাণিজ্য, সামুদ্রিক ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য চট্টগ্রাম।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এমনকি ভুটান, নেপালও এই চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে। অবকাঠামো, যোগাযোগ, লজিস্টিকস, বন্দর ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসায়ী নির্বাহীদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণসহ ইত্যাদি খাতে মূল্য সংযোজনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যালস, কনস্ট্রাকশন ইকুইপমেন্ট, মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ও এপিআই পার্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগ কার্যকর হবে।

তিনি জানান, তার দেশের চট্টগ্রামে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা, বে-টার্মিনালে অর্থায়নসহ অবকাঠামো উন্নয়নে আগ্রহ রয়েছে।

বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী আরো বলেন, রেললাইন উন্নয়ন ও স্থলবন্দরের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এবং সীমান্তে আইসিডি ও ওয়্যারহাউস নির্মাণ করা প্রয়োজন।

এ সময় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। সেইসঙ্গে উভয় দেশের সম্ভাবনা যাতে কাজে লাগানো যায়, সেজন্য পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ১০ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, রাষ্ট্রদূত ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব করেন তিনি।