সাদা পোশাকে মাহমুদুল্লার সেঞ্চুরি

বাংলাদেশের ক্রিকেট মানেই মাহমুদউল্লাহ কি নেই তার মাঝে। টি-২০,ওডিআই,টেস্ট সব ফরম্যাটেই যাকে দেখা যাই জ্বলে সে আর কেউ নন আমাদের মাহমুদুল্লার । সাদা পোশাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে দেওয়ার মতো অনেক কিছুই আছে তাঁর। টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন, বলতে গেলে শেষই হয়ে যেতে বসেছিল এ সংস্করণে তাঁর ক্যারিয়ার। তবে হারারেতে আট নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করে মাহমুদউল্লাহ বার্তা দিলেন, তিনি ফুরিয়ে যাননি এখনো।

এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাসিম শাহর হ্যাটট্রিক বলে অফস্টাম্পের বাইরে শট খেলে আউট হয়েছিলেন, এর পরপরই বাদ পড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এই টেস্টের স্কোয়াডেও শুরুতে রাখা হয়নি তাকে। অবশ্য তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের চোটের কারণে শেষ মুহূর্তে দলে ডাকা হয় তাঁকে। হুট করে মাহমুদউল্লাহর দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়েও হয়েছে আলোচনা। অন্তত তাঁর পারফরম্যান্সে ছাপ পড়েনি ।

১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন  ধুঁকছিল বাংলাদেশ ঠিক তখন মাহমুদউল্লাহ  লিটন দাসের সঙ্গে গড়েছিলেন ১৩৮ রানের জুটি, দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগে তাসকিন আহমেদের সঙ্গে তাঁর নবম উইকেট জুটি অবিচ্ছিন্ন ১৩৪ রানে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নবম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি আগে ছিল ৩৫ রানের। সব মিলিয়ে নবম উইকেটে বাংলাদেশের এটি এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি।

মাহমুদউল্লাহ দিন শুরু করেছিলেন ৫৪ রানে। এখন পর্যন্ত ড্রাইভ আর ফ্লিকে তিনি দারুণ কার্যকর। ইনিংসে এখন পর্যন্ত ১১টি চারের সঙ্গে মেরেছেন একটি ছয়। ১৯৫ বলে রয় কাইয়ার বলে কাট করে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান তিনি। ক্যারিয়ারে এটি তাঁর পঞ্চম সেঞ্চুরি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। আটে নেমে এটি তাঁর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তিনি করেছিলেন এ পজিশনে নেমে।

মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরির দিনে ক্যারিয়ারের  ক্রিকেটে প্রথম ফিফটি পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। দারুণ কিছু শট খেলেছেন এখন পর্যন্ত তিনি। দশ নম্বরে নেমেছেন, সেটি যেন ভুলিয়েই দিচ্ছেন!মধ্যাহ্নবিরতিতে তাসকিন গেছেন ৫২ রানে অপরাজিত থেকে। ফিফটি করেছিলেন ৬৯ বলে। এখন পর্যন্ত ইনিংসে তিনি মেরেছেন ৮টি চার। দশ নম্বরে নেমে বাংলাদেশের হয়ে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কোর।এ দুজনের জুটিতে বাংলাদেশ বিরতিতে গেছে ৮ উইকেটে ৪০৪ রান নিয়ে।