ভর্তি পরীক্ষা শেষে পাল্টাপাল্টি হামলায় ২০ জন আহত
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ শনিবার বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়নকাজ নিয়ে কিছুদিন ধরেই ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল্লাহর মধ্যে বিরোধ চলছে। ভর্তি পরীক্ষা শুরুর আগে আজ দুপুর ১২টার দিকে ফরিদুল ইসলামের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী মিনহাজুল ইসলাম ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল রাখতে গেলে সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল্লাহর সমর্থক সাব্বির হোসেনের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সামান্য হাতাহাতিও হয়।
এর জেরে বেলা দুইটার দিকে আবার লোকবল নিয়ে দুই পক্ষ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভয়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা নাজমুল হোসেন বলেন, ‘মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে দুই দল ছাত্রের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি।’
জানতে চাইলে মো. নূরুল্লাহ বলেন, ‘এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। খবর পেয়ে আমরা সভাপতি সম্পাদক দুজনই ক্যাম্পাসে যাই। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।’
তবে ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি ছাত্রলীগের কোনো বিরোধ নয়। ভর্তি পরীক্ষার সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি থেকে বিরোধ তৈরি হয়েছে। আমরা সমস্যার সমাধান করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামাল হোসেন বিকেল পাঁচটার দিকে বলেন, ‘আমরা ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এর মধ্যেই খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। কয়েকজন ছাত্র হাসপাতালে আছে শুনেছি, তাদের দেখতে যাচ্ছি।’