প্রত্যাশিত জয় দিয়েই সিরিজ শুরু টাইগারদের

দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ, শুরুতেই অধিনায়ক তামিমের উইকেট হারায় তারপর একে একে সাকিব,মিথুন মোসাদ্দেকরা হতাশ করে ড্রেসিং রুমে ফেরেন। চাপে পড়ে রিয়াদ ও সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস এর পার্টনাশীপ এবং শেষ দিকে আফিফ হোসেনের ৩৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ২৭৬ রান করতে সক্ষম হয়।

জবাবে সাকিব আল হাসানের বোলিং তোপে দিশেহারা হয়ে পরে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম ধাক্কা খেয়েছে জিম্বাবুয়ে, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ভেতরের দিকে ঢোকা বলটাতে ব্যাট চালিয়ে উল্টো সেটিকে স্টাম্পে ডেকে এনেছেন তাদিওয়ানাশে মারুমানি। এরপরের আঘাত তাসকিন আহমেদের—ফুল লেংথ থেকে ভেতরের দিকে ঢোকা বলটিতে এবার ব্যাটও লাগাতে পারেননি ওয়েসলি মাধেভেরে। প্রথম পাওয়ার প্লে-র ঠিক পরের ওভারেই শরীফুল ইসলামের বাইরের বলে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন মায়ার্স।

সাকিবের প্রথম দুই ওভারে তিন চার মারা ব্রেন্ডন টেলর সাকিবকেই স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন স্কয়ার লেগে। এ উইকেট দিয়েই মাশরাফি বিন মুর্তজাকে টপকে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বনে গেছেন সাকিব।নিজের পরের ওভারে এসে রিচার্ড এনগারাভাকে ক্যাচ বানিয়ে নিজের পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেছেন সাকিব। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এ নিয়ে তৃতীয়বার ৫ উইকেট পেলেন, এর মধ্যে দুইবারই প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে।

ম্যাচসেরা হয়েছেন সেঞ্চুরি করা লিটন দাস ১০২ রান ১১৪বল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশঃ ২৭৬/৯( লিটন ১০২, আফিফ ৪৫, লুক জঙ্গি ৫১/৩)

জিম্বাবুয়েঃ ১২১/১০(চাকাভা ৫৪, টেইলর ২৪, সাকিব ৩০/৫)

বাংলাদেশ ১৫৫ রানের জয় লাভ করে।