চুলের যত্নে আম

চুলের সবচেয়ে সমস্যা হলো খুশকি। অতিরিক্ত শুষ্ক ও তৈলাক্ত স্ক্যাল্পে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। সিবাম ভারসাম্যহীনতার জন্য মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক ও তৈলাক্ত হয়ে থাকে। আমে আছে ভিটামিন এ, যা সিবামের ভারসাম্য বজায় রাখে। খুশকির হাত থেকে রেহাই পেতে ঘরে বানিয়ে নিতে পারেন আমের তেল। এক কাপ নারকেল বা জলপাই তেলের সঙ্গে আধা কাপ আমের পাল্প মিশিয়ে একদম অল্প আঁচে জ্বাল দিন এক ঘণ্টা।

এরপর তেলের মিশ্রণ ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। গোসলের আগে স্ক্যাল্পে খুব ভালোভাবে তেল লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলের জন্য সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এটি ব্যবহার করুন। বাড়তি পুষ্টির জন্য চাইলে আম-তেলের বোতলে কিছু মেথি ভিজিয়ে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন।

আমে রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার, প্রায় পাঁচ রকমের ভিটামিন (এ, বি৫, বি৬, সি, ই, কে), প্রচুর পরিমাণে কপার, ফোলেট, কার্বোহাইড্রেট, এমনকি প্রোটিন। এসব পুষ্টি উপাদানকে কাজে লাগিয়ে এখন অনেক হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টের প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি উপকরণ হিসেবে আম ব্যবহার করা হচ্ছে। চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এ গরমে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে কাজে লাগানো যাবে।

আম ভিটামিন এ, সি এবং ই-এর খুব ভালো উৎস। আরও আছে পলিফেনল, যা একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ভিটামিন সি এবং পলিফেনল মিলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ফলে যে ক্ষতি হয়, তা থেকে চুলের ফলিকলকে রক্ষা করে। আর ভিটামিন এ এবং ই চুলের গোড়া মজবুত করে এর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। একটা পাকা আমে পাল্পের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ জলপাই তেল মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখুন এক ঘণ্টা। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পরিবেশদূষণ এবং সূর্যের আলোতে চুল যদি হয় রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ, তাহলে ডিপ কন্ডিশনিং করতেই হবে। এ সময়ে এ কাজ আম দিয়ে করুন। একটা মাঝারি সাইজের পাকা আমের পাল্পের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ টক দই আর একটা ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাথার তালুতে ভালোভাবে মেখে অপেক্ষা করুন ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।