অনলাইনে গরুর ভুঁড়ির ব্যবসা

রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা তানজিলা জামান অনলাইনে গরুর ভুঁড়ির ব্যবসা করেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামে  যুক্ত হন। সেখানে উদ্যোক্তাদের সাফল্যের গল্পগুলো তাঁকে অনুপ্রাণিত করে। ছয় মাসে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার বিক্রি হয়েছে এই গরুর ভুঁড়ি। এত কম সময়ে অনলাইনে এত বেশি টাকার ভুঁড়ি বিক্রি হচ্ছে দেখে উদ্যোক্তা নিজেই বেশ অবাক হয়েছেন।

গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে শুরু করেন ব্যবসা। তাঁর ব্যবসায়িক উদ্যোগের ফেসবুক পেজের নাম দেশি ফুড। প্রথমে ঘি নিয়ে কাজ করতে চাইলেও পরে ভুঁড়ি নিয়েই কাজ শুরু করেন। তানজিলা বললেন, “একসময় গরুর ভুঁড়ি তাঁর নিজেরও পছন্দের খাবার ছিল। তবে তা পরিষ্কার করার ঝামেলা তো ছিলই। অনেকে নাকসিটকালেও গরুর ভুঁড়ি অনেকেরই পছন্দের খাবার। পরিষ্কারের ঝামেলায় ইচ্ছা থাকলেও খাবারের তালিকা থেকে অনেকে বাদ রাখেন এই খাবার।“

ভুঁড়ির অর্ডার পাওয়ার পর ক্রেতাদের কাছ থেকে সময় চেয়ে নেন তানজিলা। একটা ৬ কেজি ওজনের গরুর ভুঁড়ি পরিষ্কার করতেই লেগে যায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা। শুধু গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে কষ্টও বেশি। পরিষ্কার করার পর কেজি হিসাবে তিনি ঢাকার মধ্যে হোম ডেলিভারি দেন।

বাসার কাজের সহকারীসহ দুজন কর্মী রেখেছেন ভুঁড়ি পরিষ্কার করার কাজের জন্য। বাড়ির কেয়ারটেকার বা নিজেই উত্তরাসহ বিভিন্ন জায়গার বাজার থেকে ভুঁড়ি সংগ্রহ করেন। তারপর নিজের রান্নাঘরেই চলে তা পরিষ্কারের কাজ।