স্বাধীনভাবে জমি দেবে

যেসব পরিবার সমবায় গঠন করবে, তাদের পরিবার পিছু আরও বাড়তি জমি দেওয়ার আয়োজনের কথা জানান ভূমি সংস্কার ও ভূমি প্রশাসন দফতরের মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত। ১৯৭৩ সালের  তিনি এ ঘোষণা দেন।বাংলাদেশ সরকার দেশের ভূমিহীন কৃষকদের মাঝে ৫ লাখ ৩৩ হাজার একর জমি বিনামূল্যে বণ্টন শুরু করে। সরকারের ভূমি সংস্কার কর্মসূচি অনুযায়ী, ভূমিহীন কৃষকদের মাঝে পরিবার পিছু দেড় একর করে জমি জমি বণ্টন করা হয়।

তিনি বলেন, “বাস্তুভিটার মূল্য নির্ধারণ করা হবে বাজারের বর্তমান মূল্যের সঙ্গে মিল রেখে। বাকিটার কোনও মূল্য নেওয়া হবে না। অর্থাৎ, চাষের জন্য জমি ব্যবহার করলে সেখানে কোনও মূল্য দিতে হবে না।“ তবে কৃষকরা কোনও অবস্থাতেই এই জমি বেচতে পারবে না। সরকারের ভূমি বন্দোবস্ত নীতি অনুযায়ী, এসব জমি তাদের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে যে ৫ লাখ ৩৩ হাজার একর জমি বিনামূল্যে বিলি করা হচ্ছে, তার মধ্যে সাড়ে ৪ লক্ষাধিক সরকারি খাস জমি এবং বাকি ৭১ হাজার একর জমি সর্বোচ্চসীমার অতিরিক্ত জমির মালিকদের স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেওয়া।

প্রথম পাঁচশালা পরিকল্পনায় দেশের ১০ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, এই পাঁচশালা পরিকল্পনায় ১০ হাজার গ্রামে  তিনটি করে মোট ৩০ হাজার পাম্প স্থাপনের বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে এবং এই বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য মূলত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রায় ১২৭ জন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগদান করেন। সম্মেলনে গৃহীত এক প্রস্তাবে দাবি করা হয়— বাংলাদেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক বাঙালিদের বিনিময়ে বাংলাদেশে অবস্থিত পাকিস্থানিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।