ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের প্রস্তুতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ৩টি রয়েছে এছাড়াও বিভাগ পরিবর্তন করে অন্য বিভাগে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক  তারা ‘ঘ” ইউনিটে পরিক্ষা দিতে পারবেন। এটিকে বলা হয় বিভাগ পরিবর্তনের ইউনিট।

এই পরীক্ষায় যে  বিষয়ে প্রশ্ন হয় তাহলো,  জাতীয় শিক্ষাক্রমের অধীনস্থ শিক্ষার্থীদের সাধারণত ‘ঘ’ ইউনিটে বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান- এই তিনটি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। আর ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের বাংলার পরিবর্তে অ্যাডভান্সড ইংরেজির উত্তর করতে হয়।

এবারের ভর্তি পরীক্ষায়ও এমসিকিউ এবং লিখিত এই দুইটি অংশে পরীক্ষা হবে। আর এই দুইটি অংশে আলাদা করে পাস মার্ক অর্জন করতে হবে। এছাড়া এমসিকিউ অংশে তিনটি বিষয়েই আলাদা করে পাস মার্ক অর্জন করতে হবে। তাই কোনোভাবেই একটি বিষয়কে কম গুরুত্ব দিলে চলবে না।

বাংলা

বাংলা ১ম ও ২য় দুইটি পত্র থেকেই সাধারণত প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।

  • ১) উচ্চমাধ্যমিকের ‘সাহিত্য পাঠ’ বই থেকে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত সকল গদ্য-পদ্যের মূলভাব বা মূলবাণীগুলো আয়ত্ত করতে হবে।
  • ২) লেখক ও কবি পরিচিতি থেকে কিংবা এর বাইরে থেকেও সাধারণত বিভিন্ন বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিকের ছদ্মনাম, উপাধি, তাঁদের লেখা বিভিন্ন বই ও সাহিত্যের নাম, তাঁদের অর্জিত পুরস্কার ইত্যাদি পরীক্ষায় আসতে পারে।
  • ৩) উচ্চমাধ্যমিকের ‘সহপাঠ’ বইয়ের নাটক ও উপন্যাস থেকে সাধারণত প্রশ্ন করা হয় না। তাই এগুলোর উপর বেশি সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই।
  • ৪) প্রতিটি গদ্য ও পদ্যের শেষে যে শব্দার্থগুলো রয়েছে, সেগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত কর‍তে হবে।
  • ৫) যেহেতু বানান, উচ্চারণ, সন্ধিবিচ্ছেদ ইত্যাদি প্রশ্ন সচরাচর এসে থাকে তাই এগুলো ভালো করে পড়তে হবে, বিশেষ করে ‘সাহিত্য পাঠ’ বইয়ের বিভিন্ন গদ্য ও পদ্যের শব্দগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।
  • ৬) এছাড়াও গদ্য ও পদ্যের গুরুত্বপূর্ণ লাইন, ভাষাভিত্তিক অংশ, এককথায় প্রকাশ, সন্ধি, বাগধারা ইত্যাদি ভালোভাবে পড়তে হবে।
  • ৭) বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি অত্যন্ত উপকারী। কারণ এই বইটি থেকেই সচরাচর অনেক প্রশ্ন কমন আসে।
  • ৮) রিটেন পার্টের জন্য বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে অনুচ্ছেদ পড়তে পারো আর বিভিন্ন অনুচ্ছেদে বাংলা ভাষা অপপ্রয়োগের শুদ্ধকরণ বেশি করে প্র‍্যাক্টিস কর।

 

বাংলা ২য় পত্র থেকে পড়ার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ টপিক হল-

  • ভাষা (কোনটি কোন ভাষার শব্দ)
  • ধ্বনিতত্ত্ব
  • যুক্ত ব্যঞ্জন বিশ্লেষণ
  • শব্দ সম্ভার
  • পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ
  • সংখ্যাবাচক শব্দ
  • দ্বিরুক্ত শব্দ
  • বচন
  • পদাশ্রিত নির্দেশক
  • উপসর্গ
  • প্রকৃতি ও প্রত্যয়
  • সমাস
  • পদ প্রকরণ
  • পদ পরিবর্তন
  • ক্রিয়ার কাল ও ভাব
  • বাক্য প্রকরণ
  • বাক্য রূপান্তর
  • বাচ্য
  • যতি বা ছেদচিহ্ন
  • শুদ্ধিকরণ

 

ইংরেজি

  • Cliffs TOEFL বা Barron’s TOEFL বই থেকে ইংরেজি গ্রামারের বিভিন্ন নিয়ম গুলো এবং অনুশীলন গুলো ভালো ভাবে করতে হবে।

 

  • প্রায় প্রতি বছরই একটি Passage দেয় এবং সেটি থেকে ৫-৮টি প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। তাই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে এবং বেশি বেশি করে এগুলো প্র‍্যাক্টিস করতে হবে।

 

  • এছাড়া Group Verb, Phrase and Idioms, Appropriate Preposition, Translation ইত্যাদি টপিক থেকেও প্রশ্ন হয়ে থাকে।

 

 

  • লিখিত অংশের জন্য ইংরেজি থেকে বাংলা এবং বাংলা থেকে ইংরেকি Translation বেশি বেশি করে প্র‍্যাক্টিস করতে হবে।

 

  • বিশেষ করে ইন্টারমিডিয়েটের ‘English For Today’ বইয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যেসকল টপিক আছে ওগুলো সম্পর্কিত Paragraph তো অবশ্যই পড়তে হবে!

 

গুরুত্বপূর্ণ গ্রামার টপিকগুলো হল-

  • Parts of Speech
  • Determiner
  • Tense
  • Right Forms of Verbs
  • Subject Verb Agreement
  • Degree
  • Transformation
  • Voice
  • Narration

 

এসব টপিক ভালোভাবে পড়লে আশা করা যায় সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব।

 

সাধারণ জ্ঞান

 

  • প্রতিদিন সংবাদপত্র পড়ার অভ্যাস কিন্তু একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস! যদি এই অভ্যাসটি না থেকে থাকে, তাহলে অন্তত পরীক্ষার আগে প্রতিদিন সকালে সংবাদপত্র পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে।

 

  • নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বইটি অনেক সাহায্য করতে পারে।

 

 

  • বিগত ৩-৪ মাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বইগুলো সংগ্রহ করে এদের শুরুতে ৪-৫ পৃষ্ঠায় যেসব সাম্প্রতিক ঘটনার উপর প্রশ্ন থাকে ওগুলো পড়বে।