লন্ডনে  হবে  আইপিএল

বিশ্বকাপ বাদে ক্রিকেটের এখন সবচেয়ে বড় আয়োজন আইপিএল। টাকা বানানোর দিক থেকে তো সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতাই। তাই আইপিএল অনেক ক্ষেত্রেই প্রাধান্য পাবে। আর্থিক দিকটা যেমন আছে, তেমনি আছে ক্রিকেটের সব তারকাকে একসঙ্গে দেখার লোভ। সব মিলিয়েই আইপিএল এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয় এক প্যাকেজ সবার জন্য। সে প্যাকেজের ভাগ এখন নিতে চাইছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খানও। ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট টুর্নামেন্ট নিজ শহরে নিতে চান মেয়র খান।

অনেক বড় ক্রিকেট অনুরাগী মেয়র খান। কিশোরবেলায় সারেতে ক্রিকেটার হিসেবে ট্রায়ালও দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে লন্ডনের মেয়র হওয়ার পর থেকেই ভিন্ন কিছু করার উদ্যোগ দেখিয়েছেন। প্রথমবারের মতো মেজর লিগ বেসবলকে টেনে এনেছিলেন লন্ডনে। সেই সঙ্গে ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) সঙ্গে শহরের সম্পর্ক পুনর্জীবিত করেছেন। টটেনহাম হটস্পারের নতুন স্টেডিয়ামে প্রতি মৌসুমেই যেন এনএফএলের ম্যাচ থাকে সেটা নিশ্চিত করেছেন ১০ বছরের জন্য।

করোনা সংক্রমণ যখন রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে, তখন ১২টি জৈব সুরক্ষাবলয় সৃষ্টি করে হলেও আইপিএল চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ভারতে সবচেয়ে বেশি করোনায় ভুগছে মহারাষ্ট্র রাজ্য। দেশের প্রায় ৫০ ভাগ নতুন করোনা রোগী এই রাজ্যে। এ কারণে রাজ্যটিতে কড়া লকডাউন চলছে। এর মধ্যেও আইপিএল আয়োজনের ব্যাপারে কোনো আপত্তি নেই রাজ্য সরকারের।

নতুন মেয়াদে লন্ডনের মেয়র হতে চাইছেন সাদিক খান। আগামী ৬ মে লেবার পার্টির পক্ষ থেকে আবার দাঁড়াবেন তিনি। ভোটারদের আগ্রহ বাড়াতে তাই নতুন টোপ ফেলেছেন। বেসবল ও আমেরিকান ফুটবলের পর সময়ের ক্রিকেটের অন্যতম আকর্ষণীয় টুর্নামেন্টকেও লন্ডনে টেনে নেওয়ার পাশা দেখাচ্ছেন, ‘মহামারির পর আরও ভালো লন্ডন তৈরির পরিকল্পনা করছি।

আমি জানি বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও ঋষভ পন্তের মতো ক্রিকেটারদের দেখার জন্য লন্ডনবাসী মুখিয়ে থাকেন। লর্ডস ও কিয়া ওভালের মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা দুটি ক্রিকেট মাঠ থাকায়, আইপিএলের ম্যাচ আয়োজনের জন্য লন্ডন আদর্শ জায়গা।’

আইপিএলকে লন্ডনে টেনে নিতে চাওয়ার পেছনে আরও বেশ কিছু কারণ খুঁজে পেয়েছেন সাদিক খান। করোনাকালে আইপিএলের ম্যাচ আয়োজন সম্ভব না হলেও ভবিষ্যতে লন্ডনকে পর্যটকদের কাছে লোভনীয় করার জন্য হলেও আইপিএলকে বেশ আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে খানের, ‘সেরা সব প্রতিযোগিতায় মাঠে যেতে না পারাটা ক্রীড়াপ্রেমী লন্ডনবাসীর  জন্য খুব কঠিন, এটা জানি।