সংক্রমণ যেভাবে ছড়াচ্ছে

সংশ্লিষ্ট কিছু সূত্রের ভাষ্য, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সচেতনতা বাড়ানো ও নন–কোভিড হাসপাতালের বিছানাকে করোনা রোগীর বিছানা হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আক্ষরিক অর্থে তেমন পদক্ষেপ নিতে পারেনি।গণপরিবহন, উপাসনালয়, গণজমায়েত ও পর্যটনকেন্দ্রগুলো থেকে করোনাভাইরাস বেশি ছড়াচ্ছে। সংক্রমণপ্রবণতা বিবেচনা করা হলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশ করোনা পরিস্থিতির একটি সংকটময় অবস্থায় পড়বে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, টিকার সংকট সামনে তৈরি হবে। যতক্ষণ আছে দেওয়া যাবে। সরকার রাশিয়া ও চীন থেকে টিকা আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক জবাব পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী  জাহিদ মালেক  বলেন, “আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। কিন্তু করোনার টিকা দেওয়ার পর কিছু লোক অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়ে। সমুদ্রসৈকতে ভিড় বাড়ে। প্রচুর বিয়ের অনুষ্ঠান হয়, তাতে প্রচুর লোকের সমাগম হয়। এসব অনুষ্ঠানে অনেকেই মাস্ক পরেননি, মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব। পাশাপাশি ওয়াজ মাহফিল ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান থেকেও সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে।’

তিনি আরো বলেন, “এখন আমাদের ১৮ দফা মেনে চলতে হবে। লকডাউন দেওয়া হয়েছে, তা মানতে হবে। ইচ্ছে করলেই হাসপাতালের শয্যা বাড়ানো যাবে না।“

সরকারের প্রতিবেদন বলছে, সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ৯৭টি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১০ হাজার ৫০০টি জেনারেল শয্যা, ৫৪৯টি আইসিইউ শয্যা চালু আছে। সব জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কমপক্ষে পাঁচটি শয্যা কোভিড রোগীদের জন্য প্রস্তুত রাখা আছে।

সারা দেশে কোভিডসংশ্লিষ্ট অক্সিজেন সিলিন্ডার ১৩ হাজার ৪১৫টি, হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা ৯৫৫টি, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৭৯৯টি এবং ৫৭৩টি ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে।

সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. ইহতেশামুল হক  বলেন, ‘যেটা ভালো দিক, সেটা হচ্ছে হাসপাতালের প্রস্তুতি আগের চেয়ে ভালো।

আইসিইউ শয্যা, অক্সিজেন ব্যবস্থা গত বছরের চেয়ে অনেক ভালো। আমাদের পরীক্ষার সুযোগ বেড়েছে। চিকিৎসকদের ভীতি অনেক কমেছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের কোনো সিদ্ধান্তে কঠোর হতে পারেনি। সমন্বয়হীনতা প্রকট ছিল।’