ট্রাম্পের কন্যা-জামাতার সেই স্বপ্ন হারিয়ে গেল অন্ধকারে!
রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত বিদায়ি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ও হোয়াইট হাউজের বিশেষ উপদেষ্টা ইভাঙ্কা ট্রাম্প। উদ্বিগ্ন জামাতা জারেড কুশনারও এবং ইভাঙ্কা।
সূত্রমতে, নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয়, ক্যাপিটল হিল হামলা ও দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসনের পর নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে অধিক চিন্তিত ইভাঙ্কা-কুশনার দম্পতি।
চার বছর আগে নিউইয়র্ক থেকে পরিবারসহ ওয়াশিংটনে এসেছিলেন ইভাঙ্কা ও কুশনার। ভেবেছিলেন-ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে থাকার বছরগুলো তাদের ভবিষ্যতের প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে।
কুশনারের স্বপ্ন- বিশ্ব রাজনীতিতে একজন শক্তিশালী খেলোয়াড় হয়ে ওঠা। অন্যদিকে নিজেই একদিন প্রেসিডেন্ট হয়ে হোয়াইট হাউজে বসতে চান ইভাঙ্কা। ক্ষমতার প্রতি নিজেদের এই প্রীতির কথা প্রকাশ্যেই বলে থাকেন তারা।
ইহুদি ধর্মাবলম্বী কুশনারের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে ইভাঙ্কা বলেছিলেন, তিনি জানান, কুশনারই সেই ব্যক্তি যার সঙ্গে তার স্বপ্ন মিলে যায়।
তার ভাষায়, ‘জারেড ও আমার মধ্যে অনেক মিল। আমরা দুজনই উচ্চাকাঙ্ক্ষী। সে সবসময়ই আমার পাশে ছিল। আর এটাই আমাদের সম্পর্ককে দুর্দান্ত করে তুলেছে।’
আর এখন ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির লজ্জাজনক সমাপ্তির চাক্ষুস দেখছে উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই দম্পতি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে এখনও ট্রাম্প সমর্থকদের নাশকতার ছাপ স্পষ্ট।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথের আগেই হাজারো ন্যাশনাল গার্ড সদস্য পুরো ওয়াশিংটন শহরটিকে ঘিরে রেখেছেন। হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসিত হয়েছেন।
টুইটারসহ জনপ্রিয় সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতিতে স্বপ্নপূরণের জন্য ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও জারেড কুশনারকে এই লজ্জাজনক পরিণতিকে ঘুরিয়ে দিতে হবে।
হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘ইভাঙ্কা ওয়াশিংটনে এসেছিলেন দেশকে কিছু দিতে। কারণ দেশ তাকে অনেক কিছু দিয়েছে। তিনি কর্মঠ আমেরিকান পরিবারগুলোকে সাহায্য করতে নীতিমালা নিয়ে লড়েছেন।
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি এমন কিছু নীতিমালার নেতৃত্ব দিয়েছেন, যা চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে, আমেরিকান শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন করেছে, অভাবে থাকা পরিবারগুলোর কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছে, এমনকি মহামারির সময় ছোট ব্যবসাগুলোকে সহায়তা দিয়েছে। ইভাঙ্কা তার সেবার জন্য গর্বিত এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে উচ্ছ্বসিত।’
ইভাঙ্কার প্রেসিডেন্ট হওয়া এবং কুশনারের বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে উঠতে চাওয়ার স্বপ্নপূরণ হওয়া এখন অসম্ভব হয়ে উঠেছে কি না, জানতে চাইলে এক রিপাবলিকান রাজনৈতিক কর্মী বলেন, ‘তার বাবা যে ক্যাপিটলে হামলায় প্ররোচনা দিয়েছে, এটা মানুষের মন থেকে মুছে ফেলা প্রায় অসম্ভব।
যদি ইভাঙ্কা ভবিষ্যতের ভোটারদের মন থেকে এই ধ্বংসাত্মক পরিণতি ভোলাতে চান, তাহলে তাকে আরও অনেক উঁচুতে নিজেকে নিয়ে যেতে হবে।’
জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ইভাঙ্কা-জারেড দম্পতির ফ্লোরিডায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।