চোটেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা

পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান রশিদ লতিফ আইসিসির দশকসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে কোনো পাকিস্তানি না থাকায় আইসিসির একাদশকে ‘আইপিএল একাদশ’ নাম দেন।আরেক পাকিস্তানি সাবেক শোয়েব আখতারও রশিদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আইসিসির সমালোচনা করেন। আইসিসির দশকসেরা দলের তিন সংস্করণের কোনো দলেই নেই একজন পাকিস্তানিও। শোয়েব আখতারের চোখেও আইসিসির একাদশটি আইসিসির নয়, আইপিএলের একাদশ হয়েছে।

বর্তমানে টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর ব্যাটসম্যান বাবর আজমের একাদশে না থাকা শোয়েবকে অবাক করেছে। ‘আমার মনে হয়, আইসিসি ভুলে গেছে যে পাকিস্তানও ক্রিকেট খেলে। তারাও আইসিসির সদস্য। বাবর আজমকে দলে রাখা হয়নি। যে কিনা বর্তমানে বিশ্বের ১ নম্বর টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান’—বলেছেন শোয়েব।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব বলেছেন, ‘কোনো পাকিস্তানিকে একাদশে রাখা হয়নি। আইসিসির দশকসেরা একাদশ আমাদের দরকার নেই। কারণ, আপনারা আইপিএলের একাদশ ঘোষণা করেছেন, বিশ্বের একাদশ নয়।’

একাদশের সমালোচনা করেই থামেননি এই সাবেক পাকিস্তানি গতিতারকা। অর্থের লোভ ও ক্রিকেটের পুরোনো আমেজ নষ্ট করার জন্য আইসিসির দিকে আঙুল তোলেন তিনি, ‘আইসিসি শুধু টাকা, পৃষ্ঠপোষকতা ও টিভি স্বত্ব নিয়ে চিন্তা করে। ওয়ানডে ক্রিকেটে তাঁরা দুটি নতুন বল নিয়ে এসেছে। তিনটি পাওয়ার প্লে যোগ করেছে। কোথায় সেই ডেনিস লিলি, জেফ থমসন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিগ ফাইভ, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস? কোথায় বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলার ও লেগ স্পিনার? তাঁরা নেই কারণ আইসিসি ক্রিকেটকে ব্যবসা বানিয়ে ফেলেছে।

আইসিসির টি-টোয়েন্টি একাদশের টপঅর্ডার সাজানো রোহিত শর্মা, ক্রিস গেইল, অ্যারন ফিঞ্চ, বিরাট কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্সকে নিয়ে। শোয়েবের মতে, টি-টোয়েন্টিতে কোহলির চেয়ে এগিয়ে থাকবেন বাবর। তিনি বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে বাবর ছাড়া বড় ক্রিকেটার নেই। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান তাঁর। তাঁর গড় দেখলেই বোঝা যায় দেশের হয়ে সে কী করেছে। বিরাট কোহলির সঙ্গে তুলনাতেও সে এগিয়ে। এটা খুবই লজ্জাজনক।