নতুন রেকর্ড এর সামনে ভারত
করোনা মহামারিতে এবার খেলার মাঠে খেলা সেভাবে গড়ায়নি। ক্রিকেট মাঠে যেমন এ পর্যন্ত ১৯টি টেস্ট মাঠে গড়িয়েছে (নিষ্পত্তি হওয়া ম্যাচ)। কাল ভোরে মেলবোর্নে বক্সিং টেস্ট খেলতে নামার আগে এ সময় পর্যন্ত মাত্র তিনটি টেস্ট খেলতে পেরেছে ভারত। এই তিন টেস্টই তারা খেলেছে প্রতিপক্ষের মাটিতে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়েলিংটন ও ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টেই হারে ভারত। আর চলতি অস্ট্রেলিয়া সফরে অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্টে বাজে হার দেখতে হয় বিরাট কোহলির দলকে। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জা পেতে হয় কোহলির দলকে। মেলবোর্ন টেস্টের আগেও অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ড চোখ রাঙাচ্ছে ভারতকে।
মেলবোর্ন টেস্ট শেষ হবে ৩০ জানুয়ারি। এই টেস্টে ভারত জিততে কিংবা ড্র করতে না পারলে গত ৮৮ বছরের মধ্যে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবার এক বর্ষপঞ্জিতে সব টেস্টে হার দেখতে হবে ভারতকে। এক বর্ষপঞ্জিতে ন্যূনতম ৩টি টেস্ট খেলা বিবেচনায় নিয়ে এই হিসাব।
মেলবোর্নেও হারলে এই শতাব্দীতে প্রথমবারের মতো এক বর্ষপঞ্জিতে জয় ছাড়াই টেস্ট ময়দান ছাড়তে হবে ভারতকে। ন্যূনতম ৩ টেস্ট খেলা বিবেচনায় নিলে এই সংস্করণের ইতিহাসে এর আগে এক বর্ষপঞ্জিতে কোনো দলের জয়বঞ্চিত থাকার ঘটনা দেখা গেছে ১৮ বার।
এই ১৮ বারের তালিকায় নির্মম সত্যটা সইতে হবে বাংলাদেশের সমর্থকদের। কেননা এ তালিকায় বাংলাদেশ যে বাকি দলগুলোর চেয়ে প্রমাণ ব্যবধানে এগিয়ে। বাংলাদেশ দল এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছে পাঁচবার। অর্থাৎ পাঁচটি বর্ষপঞ্জিতে টেস্টে কোনো জয় ছাড়াই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা তিন বর্ষপঞ্জিতে জয় ছাড়াই টেস্টের ময়দান ছেড়েছে। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা একবার এমন নজির দেখেছে।
বাংলাদেশ মাত্র দুটি টেস্ট খেলায় এই বর্ষপঞ্জিতে বিবেচনায় আসবে না। অবশ্য বিবেচনা করলেও জয়বঞ্চিত বলা যাচ্ছে না। গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট হারে বাংলাদেশ। কিন্তু সে মাসেই ঢাকায় তারা ইনিংস ব্যবধানে জয়ের মুখ দেখে। প্রতিপক্ষ? কে আবার, জিম্বাবুয়ে!