সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ছয় টুকরা লাশ উদ্ধার

সোমবার দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি এলাকার একটি সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তির নাম আজহারুল ইসলাম। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আটক হওয়া ব্যক্তির নাম আবদুর রহমান।

থানার পরিদর্শক বলেন,” আজহারুল স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। ঈদুল ফিতরের আগে আজারুল তাঁর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে টাঙ্গাইলে গ্রামের বাড়িতে যান। গত বুধবার তিনি একা ঢাকায় ফিরে আসেন। স্ত্রী-সন্তান টাঙ্গাইলে থেকে যান।

গত বৃহস্পতিবার আজহারুল কাজে যোগ দেন। পরে তাঁর আর খোঁজ পাচ্ছিলেন না স্বজনেরা। স্বজনদের পক্ষ থেকে বিষয়টি র‍্যাবকে জানানো হয়। র‍্যাব আবদুর রহমানকে আটক করে। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে বাসার পাশের একটি সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে আজহারুলের ছয় টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয়।”

তদন্ত বিভাগের উপকমিশনার বলেন,” সরদার বাড়ির স্থানীয় মসজিদে যেতেন আজহারুল। একপর্যায়ে সেখানকার ইমাম আবদুর রহমানের সঙ্গে আজহারুলের সম্পর্ক হয়। আজহারুলের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন আবদুর রহমান। বাসায় আসা-যাওয়ার মাধ্যমে আজহারুলের স্ত্রীর সঙ্গে আবদুর রহমানের ঘনিষ্ঠতা হয়। আজহারুলকে সরিয়ে দিতে তাঁকে নেশাজাতীয় খাবার খাইয়ে অচেতন করেন আবদুর রহমান। তিনি হাত-পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আজহারুলকে হত্যা করেন। আজহারুলের দুই হাত, দুই পা ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে টুকরাগুলো সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয়।”

লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।